[1] নাইট্রোজেনকে অ্যাজোট মৌল বলা হয় কেন তা জানতে হলে অন্তত কয়েক শতাব্দী পিছিয়ে যেতে হবে।সালটি ছিল ১৭৭২,সুইজারল্যান্ডের একজন রসায়নবিদ ডেনিয়েল রাদারফোর্ড[2] সর্বপ্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন ।তবে তখনো গ্যাসটির নামকরণ করা হয়নি।নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রেট এ উক্ত গ্যাসটির উপস্থিতির কারণে ফ্রান্সের রসায়নবিদ Jean-Antoine Chaptal এর নাম দেন nitrogène অর্থ্যাৎ ...
BCl3-এর কেন্দ্রীয় মৌল কোনটি?
BCl3 অণুতে B হচ্ছে কেন্দ্রীয় মৌল।Bএর শেষ কক্ষপথের ৩ টি ইলেক্ট্রন এর সাথে ৩ টি Cl যুক্ত হয়। Cl ও B সমযোজি বন্ধনের সাহায্যে আবদ্ধ থাকে। এখানে বোরনের শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেক্ট্রন হয় এবং বোরন 'দুই এর নিয়ম' অনুসারে স্থীতিশীলতা লাভ করে।অন্যদিকে ক্লোরিন শেষ কক্ষপথে অষ্টক লাভের মাধ্যমে স্থীতিশীলতা লাভ করে।BCl3 যৌগে মুক্ত জোড় ইলেক্ট্রন আছে ৯ টি এবং যৌগ টি অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতি ...
FeSO4-এ কেন্দ্রীয় মৌল 'Fe' কেন?
কোনো যৌগের মধ্যে যে পরমাণুর জারণ সংখ্যা বেশি সেই পরমাণু টি হলো ওই যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু বা মৌল।কেন্দ্রীয় পরমাণু মূলত যৌগের সংকেতের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।যেমন : FeSO4 বা ফেরাস সালফেট এর সংকেত থেকে যদি কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করতে বলে,তবে সংকেতটির পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করে দেখতে হবে।ফেরাস সালফেট এর Oxygen এর জারণ মান -২Ferrum এর জারণ মান +২Sulphur এর জারণ মান আসুন বের ...
আমরা জানি যে, পর্যায় সারণির গ্রুপ 3(IIIB)-12(IIB) পর্যন্ত মৌলগুলোকে d-ব্লক মৌল বলে। এই d-ব্লক মৌল সমূহের মধ্যে যে সব মৌলের সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d-অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে( d¹‐⁹) অর্থাৎ একেবারে শূন্য হবে না আবার একেবারে পূর্ণ হবে না, তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে। যেমন: Fe( আয়রন) একটি অবস্থান্তর মৌল ।এর ইলেকট্রন বিন্যাস- Fe(26)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶4s²3d⁶। এর সুস্থিত আয়ন অর্থাৎ অধিক স্থিতিশীল আয়নের ...
এই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকুন… ঘড়িটা নড়ছে…ধীরে ধীরে কল্পনা করুন আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে আপনার আশেপাশে কেউ নেই। আপনি মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করুন… আপনি হাঁটছেন ধুধু মরুভূমির মাঝে। বালির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কিন্তু গরম অনুভূত হচ্ছে না! আপনি শান্তভাবে হেঁটে যাচ্ছেন। আপনার মনে অন্য কোন কিছুই আর ঘুরপাক খাচ্ছে না… আপনার মনের ব্যথা কমছে…থাক… এভাবে অনেক কিছুই বানিয়ে ...
পর্যায় সারণির 118 টি মৌলের কাজ।
পর্যায় সারণির 118 টি মৌলের কাজ।1.হাইড্রোজেন (H) রকেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় ।2.হিলিয়াম (He)গ্যাস বেলুনে ব্যবহার হয় ।3.লিথিয়াম ( Li)ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।4.বেরিলিয়াম (Be)মহাকাশযান তৈরিতে ব্যবহার হয় ।5.বোরন (B) খেলার সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার হয় ।6.কার্বন (C)হীরা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।7.নাইট্রোজেন ( N )সার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।8.অক্সিজেন (O)নিঃশ্বাসের সময় আমরা ব্যবহার ...
H2O বন্ধন কিভাবে?
O এর শেষ কক্ষপথে বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা ২। সে তার এই ২টি ইলেকট্রন দিয়ে খুব সহজেই H এর সাথে বন্ধন তৈরি করে। যা সমযোজী বন্ধন।অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা (৩.৪৪) হাইড্রোজেন (২.২) অপেক্ষা বেশি। তাই বন্ধনের ইলেকট্রনগুলো অক্সিজেনের দিকে ঝুঁকে থাকে। ফলে অক্সিজেনে আংশিক ঋণাত্নকতা সৃষ্টি হয় এবং হাইড্রোজেনে আংশিক ধনাত্নকতা সৃষ্টি হয়। এভাবে একটি পোল তৈরি হয়।তাই H2O একটি পোলার সমযোজী যৌ ...
পানি ( H2o) অর্থাৎ পানির একটি অনুতে দুইটি ধনাত্মক হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি ঋণাত্মক অক্সিজেন পরমাণু বিদ্যমান। এই দুটি মৌল পরস্পরের সাথে তড়িৎচুম্বকীয় বন্ধনে যুক্ত থাকে। এখন এই পানির মধ্যে তড়িৎচালক করলে পানির অনু ভেঙে যায়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন।2H2O(l)=2H2(g)+O2(g)l= Liquide= তরলg=gas= বায়বীয়হাইড্রোজেন পরমাণু যেহেতু ধনাত্মক আয়ন হিসেবে পানির অনুতে ...
বাতাসে নাইট্রোজেন-এর পরিমাণ বেশি হওয়া সত্ত্বেও শ্বাস-প্রশ্বাসে অক্সিজেন প্রবেশ করে কেন?
আপনি দম নেয়ার সময় শুধু অক্সিজেন না, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড সহ সব ধরণের গ্যাসই গ্রহণ করেন। তবে আমাদের শরীর ওই বাতাস থেকে কেবল অক্সিজেনই শোষণ করে নেয় এবং নাইট্রোজেনের মতো বাকি অদরকারি গ্যাস বের করে দেয়। বাতাসে অক্সিজেনের অনুপাত প্রায় ২০% থাকে এবং নাইট্রোজেন মূলত অক্সিজেনের অনুপাত ঠিক রাখছে। নাইট্রোজেনের পরিমাণ কমে গেলে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন আপনার শারীরিক সমস্যার তৈরি ...
ক্লোরোপ্লাস্ট কাকে বলে?
সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। ১৮৮৩ সালে শিম্পার সর্বপ্রথম উদ্ভিদকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট আবিষ্কার করেন। 'ক্লোরোপ্লাস্ট ' নামটিও তারই দেয়া। ক্লোরোপ্লাস্টে বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকলেও ক্লোরোফিলের আধিক্যের কারনেই এর রং সবুজ হয়।সংখ্যা: উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদকোষে সাধারণত ১০-৪০টি ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। এককোষী শৈবাল (যেমন-Chlorella, Chlamydomonas)- তে একটি ...