Recent Post
Loading...

 

[1] নাইট্রোজেনকে অ্যাজোট মৌল বলা হয় কেন তা জানতে হলে অন্তত কয়েক শতাব্দী পিছিয়ে যেতে হবে।

সালটি ছিল ১৭৭২,

সুইজারল্যান্ডের একজন রসায়নবিদ ডেনিয়েল রাদারফোর্ড

[2] সর্বপ্রথম নাইট্রোজেন গ্যাস আবিষ্কার করেন ।

তবে তখনো গ্যাসটির নামকরণ করা হয়নি।

নাইট্রিক এসিড ও নাইট্রেট এ উক্ত গ্যাসটির উপস্থিতির কারণে ফ্রান্সের রসায়নবিদ Jean-Antoine Chaptal এর নাম দেন nitrogène অর্থ্যাৎ নাইট্রোজেন।

কিন্তু বিখ্যাত রসায়নবিদ Antoine Lavoisier, যিনি অক্সিজেন ও হাইড্রোজেনের নামকরণ করেন, তিনি এই গ্যাসটির নাম দেন azote.

Azote শব্দটির অর্থ প্রাণহীন। আর, নাইট্রোজেন একটি গ্যাস যা একটি অজৈব যৌগ। এর প্রাণ নেই।

এক কথায় বলতে গেলে নাইট্রোজেনের অপর একটি নাম হলো অ্যাজোট।

তাই, নাইট্রোজেনকে অ্যাজোট মৌল বলা হয়।

 BCl3 অণুতে B হচ্ছে কেন্দ্রীয় মৌল।Bএর শেষ কক্ষপথের ৩ টি ইলেক্ট্রন এর সাথে ৩ টি Cl যুক্ত হয়। Cl ও B সমযোজি বন্ধনের সাহায্যে আবদ্ধ থাকে। এখানে বোরনের শেষ কক্ষপথে ৬টি ইলেক্ট্রন হয় এবং বোরন 'দুই এর নিয়ম' অনুসারে স্থীতিশীলতা লাভ করে।

অন্যদিকে ক্লোরিন শেষ কক্ষপথে অষ্টক লাভের মাধ্যমে স্থীতিশীলতা লাভ করে।

BCl3 যৌগে মুক্ত জোড় ইলেক্ট্রন আছে ৯ টি এবং যৌগ টি অনেকটা ত্রিভুজ আকৃতির।



কোনো যৌগের মধ্যে যে পরমাণুর জারণ সংখ্যা বেশি সেই পরমাণু টি হলো ওই যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু বা মৌল।

কেন্দ্রীয় পরমাণু মূলত যৌগের সংকেতের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।যেমন : FeSO4 বা ফেরাস সালফেট এর সংকেত থেকে যদি কেন্দ্রীয় পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করতে বলে,তবে সংকেতটির পরমাণুর জারণ সংখ্যা বের করে দেখতে হবে।

ফেরাস সালফেট এর Oxygen এর জারণ মান -২

Ferrum এর জারণ মান +২

Sulphur এর জারণ মান আসুন বের করি। Let, জারণ মান of Sulphur is x. FeSO4 যৌগের নিষ্ক্রিয় অবস্থায় জারণ মান ০।

তাই,

2 + (x) + ( -2 × 4) = 0

So, x = -6

দেখা যাচ্ছে যে, Fe এর জারণ মান সবচেয়ে বেশি। তাই, Fe হবে এই যৌগের কেন্দ্রীয় পরমাণু।

আমরা জানি যে, পর্যায় সারণির গ্রুপ 3(IIIB)-12(IIB) পর্যন্ত মৌলগুলোকে d-ব্লক মৌল বলে। এই d-ব্লক মৌল সমূহের মধ্যে যে সব মৌলের সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d-অরবিটাল ইলেক্ট্রন দ্বারা আংশিক পূর্ণ থাকে( d¹‐⁹) অর্থাৎ একেবারে শূন্য হবে না আবার একেবারে পূর্ণ হবে না, তাদের অবস্থান্তর মৌল বলে। যেমন: Fe( আয়রন) একটি অবস্থান্তর মৌল ।এর ইলেকট্রন বিন্যাস- Fe(26)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶4s²3d⁶। এর সুস্থিত আয়ন অর্থাৎ অধিক স্থিতিশীল আয়নের এর ইলেকট্রন বিন্যাস -Fe^+2(26)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶3d⁶ এখানে d- অরবিটালে 6টি ইলেকট্রন আছে যা আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ এটি অবস্থান্তর মৌল। আবার Zn(জিংক) অবস্থান্তর মৌল নয় কেননা এর সুস্থিত আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাসে d-অরবিটাল 10টি ইলেক্ট্রন দ্বারা পূর্ণ-Zn^+2(30)=1s²2s²2p⁶3s²3p⁶3d¹⁰। অবস্থান্তর মৌল সমূহ কিছু বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে ।যেমন: পরিবর্তনশীল জারণ অবস্থা প্রদর্শন, প্রভাবক রূপে ক্রিয়া, জটিল আয়ন গঠন, রঙিন যৌগ গঠন ও প্যারাচুম্বকত্ব ধর্ম প্রদর্শন করে থাকে যা অন্যান্য d-ব্লক মৌল যারা অবস্থান্তর মৌল নয় তারা প্রদর্শন করতে পারে না।

d ব্লকের যেসব মৌলের কোনো সুস্থিত আয়নের d অরবিটাল আংশিক ভাবে (যেমন —d1-9) e- দ্বারা পূর্ণ থাকে, তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বলে।

Fe2+(26) — [Ar] 3d6

Fe3+(26)— [Ae] 3d5

এখানে Fe আয়নের e-বিন্যাস থেকে দেখা যায়, এর d অরবিটাল আংশিক পূর্ণ। তাই Fe মৌলটি অবস্থান্তর।


যেসকল d- ব্লক মৌলের কোন স্থিতিশীল আয়নের সর্ববহিঃস্থ d-অরবিটালের ইলেকট্রনীয় কাঠামো আংশিক পূর্ণ অর্থাৎ d¹ - d⁹ ইলেকট্রনীয় কাঠামো থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল বা অবস্থান্তর ধাতু বলে।

যেমনঃ

Fe²+(26) ---> 1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁶ 3d⁶

Fe²+ স্থিতিশীল আয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায়, বহিঃস্থ d- অরবিটাল আংশিক পূর্ণ থাকে। কাজেই বলা যায় Fe²+ একটি অবস্থান্তর মৌল।

Cacl2 কি অবস্থান্তর মৌল?

নাহ,ক্যলাসিয়াম ক্লোরাইড একটি সাধারণ লবন।

d- ব্লকভুক্ত যেসকল মৌলের ইলেক্ট্রন বিন্যাসে d- অরবিটাল আংশিক পুর্ণ থাকে তাদেরকে অবস্থান্তর মৌল।


 এই ঘড়ির দিকে তাকিয়ে থাকুন… ঘড়িটা নড়ছে…

ধীরে ধীরে কল্পনা করুন আপনি এমন কোথাও আছেন যেখানে আপনার আশেপাশে কেউ নেই। আপনি মনকে ধীরে ধীরে শান্ত করুন… আপনি হাঁটছেন ধুধু মরুভূমির মাঝে। বালির উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন কিন্তু গরম অনুভূত হচ্ছে না! আপনি শান্তভাবে হেঁটে যাচ্ছেন। আপনার মনে অন্য কোন কিছুই আর ঘুরপাক খাচ্ছে না… আপনার মনের ব্যথা কমছে…

থাক… এভাবে অনেক কিছুই বানিয়ে বলতে পারবো আর গল্প শুরু করলে চলতেই থাকবে! 😁 অনেকেই সম্মোহন বলতে এমন কিছুই বোঝেন। সিনেমাতেও এমন কিছুই দেখানো হয়। আসলে ব্যাপারটা তেমন না।


👉সম্মোহন বা হিপনোসিস হল প্রস্তাবনা, তীব্র আবেগ ও কল্পনা শক্তি দ্বারা অন্যের মনকে প্রভাবিত করা এবং পরিচালনা করা।

এটি এক ধরনের চরম প্রস্তাবনা, শিথিলতা এবং তীব্রতার কল্পনা শক্তির দ্বারা একটি অস্বাভাবিক স্বপ্নায়ন মোহগ্রস্তের অবস্থার বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করে। যা অনেকটা ঘুমের মত মনে হলে আসলে ঘুম নয়। কারণ বিষয়টি পুরো সময়জুড়ে সজাগ থাকে। অধিকাংশ সময় একে দিবা স্বপ্নের মত মনে হয়। হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে রিলাক্স করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়। যখন আমাদের মন কোন একটি দিকে নিবিষ্ট হয়, কেন্দ্রীভূত হয় তখনই আমরা শক্তি অনুভব করি।

ধরুন, আপনি বই পড়ছেন, পড়তে পড়তে এমন অবস্থা হলো আপনি তার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেললেন…আশেপাশে কি ঘটছে তার কোনো খেয়াল আপনার নেই। বইয়ের প্রতিটি চরিত্রের সাথে মিশে গেলেন। সম্মোহনের ব্যাপারটা তেমনই, আপনার মনকে অন্যান্য চিন্তা থেকে সরিয়ে একটা নির্দিষ্ট দিকে নিয়ে আসা হয়। এটা নাকি নিজে নিজের উপরও করা যায়!!

সেরিব্রাল কর্টেক্স জার্নালে প্রকাশিত ২০১৬ সালের গবেষণা হিসাবে, একটি সম্মোহিত মস্তিষ্কের তিনটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

  • প্রথমত, ডোরসাল এন্টিরিয়র সিঙ্গুলেটের কার্যকলাপ হ্রাস পায়, যা জ্ঞান এবং মোটর নিয়ন্ত্রণে জড়িত একটি অঞ্চল।
  • দ্বিতীয়ত, ডোরসোলেটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং ইনসুলার মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি পায়, যা একটি মস্তিষ্ক-দেহের সংযোগ গঠন করে যা মস্তিষ্কের প্রক্রিয়া এবং শরীরে কী ঘটছে তা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
  • অবশেষে, ডোরসোলেটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স এবং ডিফল্ট মোড নেটওয়ার্কের মধ্যে সংযোগ হ্রাস করা হয়, যা সম্ভবত একজন ব্যক্তির কর্ম এবং সেই কর্মগুলির সচেতনতার মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

এটা কি প্লাসিবো ইফেক্ট?

সম্ভবত… কিন্তু সম্মোহনের সময় মস্তিষ্কের কার্যকলাপে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা যায়। এটি বোঝায় যে মস্তিষ্ক সম্মোহনের প্রতি একটি অনন্য উপায়ে প্রতিক্রিয়া জানায়, যা একটি প্লাসিবো প্রভাবের চেয়ে শক্তিশালী। নির্দেশিত কথোপকথন বা যে কোন ধরনের আচরণগত থেরাপি আচরণ এবং অনুভূতির উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে।

ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হবে এটা ঘুরছে!

হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে রিলাক্স করার দিকে মনোনিবেশ করা হয়। যখন আমাদের মন কোন একটি দিকে নিবিষ্ট হয়, কেন্দ্রীভূত হয় তখনই আমরা শক্তি অনুভব করি। যখন কোন ব্যক্তি সম্মোহিত হয় তখন আমরা তার মাঝে কিছু শারীরিক পরিবর্তন ও লক্ষ্যনীয় হয়। যেমন তার নাড়ীর স্পন্দন ও কমে যায়, শ্বাস প্রশ্বাস ও কমে যায়। সেই সাথে তার মস্তিষ্কের আলফা স্তরে ঢেউ খেলতে থাকে। এই সময়ে ঐ ব্যক্তিকে কোন একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে বা বিশেষ কোন নির্দেশনা প্রদান করা হয়। চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

অনেকে এটির প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনুভব করতে পারে। যার মধ্যে রয়েছেঃ

  • মাথা ব্যাথা
  • তন্দ্রা
  • মাথা ঘোরা
  • পরিস্থিতিগত উদ্বেগ

চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই বিদ্যাকে ব্যবহার করতেন ইংল্যাণ্ডের ডাক্তার এস ডেল। তিনি সম্মোহনের সাহায্যে রোগীকে ঘুম পাড়িয়ে দাঁত তুলতেন, ছোটখাট অপারেশনও করতেন। কিন্তু তারপরেও অনেক ডাক্তারই এর ব্যবহার নিয়ে নিশ্চিত নন। তারা এটার ব্যবহার করতে নিষেধ করেন।

যেহেতু এর ব্যবহার চিকিৎসা বিজ্ঞানে হচ্ছে তাই বুঝতে পারছেন বিজ্ঞানে এর গ্রহনযোগ্যতা আছে।

ব্রিটিশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক নিযুক্ত একটি কমিটি বিস্তর অনুসন্ধানের পর রায় দেয় হিপনোটিজম একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এরপর যত দিন এগিয়েছে তাবড়-তাবড় চিকিৎসক-বিজ্ঞানীরা এই বিদ্যাটির বিষয়ে অত্যুৎসাহী হয়ে পড়েছেন। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে নিত্যনতুন গবেষণা। অতএব এটা বলার অপেক্ষা রাখেনা যে সম্মোহন বা হিপনোটিজম একটা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। পৃথিবীতে অনেককিছুই যুক্তিযুক্ত ভাবে ঘটে কিন্তু মানুষের ঘটে সরাসরি সেই যুক্তি খুব সহজেই পৌছেনা বলেই সময় নিয়ে সেটা গবেষণা করে যুক্তি বের করে নয়ত, দৈব কোনকিছু বলে ছুড়ে ফেলে দেয়। জেনে রাখুন, হিপনোটাইজড সবাইকেই করানো সম্ভব। অনেকে মনে করেন, প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষকে হিপনোটাইজ করা যায় না। এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। হিপনোথেরাপি পদ্ধতি খুব সহজ।অবশ্য হিপনোথেরাপির আসল জোর মোটেই পদ্ধিতে নয়, সাজেশনে। হিপনোথেরাপির উদ্দেশ্য কাউকে হিপনোটাইজ করা নয়, রোগীকে তাঁর সমস্যা থেকে উদ্ধার করা। হিপনোথেরাপি হল “প্রোগ্রামিং অফ সাবকনসাস মাইন্ড”। এটা অনেক দ্রুত পদ্ধতি, যা কিনা সমস্যার মূলে সরাসরি হিট করতে পারে। তবে সাজেশন ঠিকঠাক না-হলে মনের প্রোগ্রামিংয়ে হয়ে যেতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে একটা-দুটো অতিরিক্ত শব্দ গ্রহণ বা বর্জন সর্বনাশ ডেকে আনতে পারে। অতএব যথেষ্ট অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত হিপনোথেরাপিস্ট ছাড়া অন্য কারও কাছে থেরাপি নেওয়া উচিত নয়। বহু রকমের অসুখ-বিসুখ সারানো সম্ভব হিপনোথেরাপির মাধ্যমে। সারানো যায় বললে কম বলা হয়, বলা উচিত এক্কেবারে নির্মূল করা যায়, তাও বিনা ওষুধে। [1]

সম্মোহন কি কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে?

  • দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা অবস্থার চিকিত্সা যেমন রিমিটয়েড আর্থ্রাইটিস
  • শিশুর জন্মের সময় চিকিত্সা এবং ব্যথা হ্রাস
  • ডিমেনশিয়া এর উপসর্গ হ্রাস
  • ADHD এর নির্দিষ্ট লক্ষণগুলির জন্য হাইপোথেরাপি সহায়ক হতে পারে
  • কেমোথেরাপি চলাকালীন ক্যান্সার রোগীদের মধ্যে বমি বমি ভাব ও বমি বমি ভাব
  • ডেন্টাল পদ্ধতির সময় ব্যথা নিয়ন্ত্রণ
  • ওয়ারস এবং সেরিয়াসিসসহ ত্বকের অবস্থার অবসান বা হ্রাস
  • তিক্ত আন্ত্রন সিন্ড্রোম সঙ্গে উপসর্গ অ্যাসোসিয়েশন নির্মূল
  • মানুষের আচরণ পরিবর্তন যেমন, ধূমপান ত্যাগ, ওজন হ্রাস, বা বিছানা ভেজা প্রতিরোধ হিসাবে মানুষের সাহায্য করা।

সম্মোহন মামুলি ব্যাপার না। ভিডিওটা দেখলে বুঝবেনঃ

তো এ পর্যন্তই। উত্তরটা কিছুটা বড় হয়ে যাওয়ায় আমি নিজেই হিপনোটাইজের কবলে পড়লাম-



পর্যায় সারণির 118 টি মৌলের কাজ।


1.হাইড্রোজেন (H) 

রকেটে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় ।


2.হিলিয়াম (He)

গ্যাস বেলুনে ব্যবহার হয় ।


3.লিথিয়াম ( Li)

ব্যাটারি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


4.বেরিলিয়াম (Be)

মহাকাশযান তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


5.বোরন (B) 

খেলার সামগ্রী তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


6.কার্বন (C)

হীরা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


7.নাইট্রোজেন ( N )

সার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


8.অক্সিজেন (O)

নিঃশ্বাসের সময় আমরা ব্যবহার করি ।


9.ফ্লোরিন (F)

পেস্ট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


10.নিয়ন (Ne)

বিজ্ঞাপনী লাইটে ব্যবহার হয় ।


11.সোডিয়াম (Na)

লবণে পাওয়া যায় ।


12.ম্যাগনেশিয়াম (Mg)

মশাল তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


13.অ্যালুমিনিয়াম (Al)

বিমান তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


14.সিলিকন (Si)

কাঁচের গ্লাস তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


15.ফসফরাস (P)

ম্যাচ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


16.সালফার (S)

কামানের গোলা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


17.ক্লোরিন (Cl)

সুইমিং পুলে ব্যবহার হয় ।


18.আর্গন (Ar)

গ্যাস ঝালাই'র কাজে ব্যবহার হয় ।


19.পটাশিয়াম (K)

সার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


20.ক্যালসিয়াম (Ca)

ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


21.স্ক্যানডিয়াম (Sc)

সাইকেল তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


22.টাইটেনিয়াম(Ti)

যুদ্ধ বিমান তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


23.ভ্যানাডিয়াম (V)

স্প্রিং তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


24.ক্রোমিয়াম (Cr)

গাড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


25.ম্যাঙ্গানিজ (Mn)

শক্তিশালী যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


26.আয়রন (Fe)

ব্রিজ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


27.কোবাল্ট (Co)

চুম্বক তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


28.নিকেল (Ni)

কয়েন তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


29.কপার (Cu)

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


30.জিংক (Zn)

পিতলের তৈরি জিনিসে ব্যবহার হয় ।


31.গ্যালিয়াম (Ga)

কম্পিউটার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


32.জার্মিনিয়াম (Ge)

ক্যামেরার লেন্স তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


33.আর্সেনিক (As)

LED লাইট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


34.সেলেনিয়াম (Se)

ফটোকপি মেশিনে ব্যবহার হয় ।


35.ব্রোমিন (Br)

ফ্লিম তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


36.ক্রিপ্টন (Kr)

ফ্লাস লাইট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


37.রুবিডিয়াম (Rb)

সৌর বিদ্যুৎ যন্ত্রে ব্যবহার হয় ।


38.স্ট্রনটিয়াম (Sr)

আতসবাজি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


39.ইত্রিয়াম ( Y )

লেজার কাটিং যন্ত্রে ব্যবহার হয় ।


40.জিরকোনিয়াম (Zr)

অপারেশনের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


41.নায়োবিয়াম (Nb)

দ্রুত গতি সম্পন্ন ম্যাগ লেভ ট্রেন তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


42.মলিবডেনাম (Mo)

কাটিং টুলস তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


43.টেকনিশিয়াম (Tc)

সিটি স্ক্যান যন্ত্র তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


44.রুথিনিয়াম (Ru)

বৈদ্যুতিক সুইচ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


45.রোডিয়াম (Rh)

সার্চ লাইট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


46.প্যালাডিয়াম (Pd)

ধোঁয়া দূষণ রোধে ব্যবহার হয় ।


47.সিলভার (Ag)

অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


48.ক্যাডমিয়াম (Cd)

রঙ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


49.ইন্ডিয়াম (In)

LCD মনিটর তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


50.টিন (Sn)

কৌটা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


51.অ্যান্টিমনি (Sb)

চোখের কাজল তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


52.টেলুরিয়াম (Te)

টায়ার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


53.আয়োডিন (I)

লবণে ব্যবহার করা হয় ।


54.জেনন (Xe)

লাইট হাউজে ব্যবহার হয় ।


55.সিজিয়াম (Cs)

পারমাণবিক ঘড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


56.বেরিয়াম (Ba)

এক্স রে তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


57.ল্যন্হানাম (La)

টেলিস্কোপ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


58.সিরিয়াম (Ce)

লাইটার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


59.প্রেজিওডিমিয়াম (Pr)

তেজস্ক্রিয়তা রোধক চশমা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


60.নিওডিমিয়াম (Nd)

ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


61.প্রোমিথিয়াম (Pm)

ডায়াল তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


62.সামারিয়াম (Sm)

প্লেনের ইলেকট্রিক মটরে ব্যবহার হয় ।


63.ইউরোপিয়াম (Eu)

রঙিন টেলিভিশন তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


64.গ্যাডোলিনিয়াম (Gd)

MRI যন্ত্রে ব্যবহার হয় ।


65.টারবিয়াম (Tb)

টিউব লাইট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


66.ডিসপ্রোজিয়াম (Dy)

উপাদানের সূক্ষ্মতা পরিমাপে ব্যবহার হয় ।


67.হলমিয়াম (Ho)

লেজার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


68.এরবিয়াম (Er)

অপটিক্যাল ফাইবার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


69.থিউলিয়াম (Tm)

চোখের লেজার সার্জারিতে ব্যবহার হয় ।


70.ইতের্বিয়াম (Yb)

লেজার ফাইবার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


71.লিউটেশিয়াম (Lu)

ফটো ডাইনোমিক মেডিসিনে ব্যবহার হয় ।


72.হাফনিয়াম (Hf)

সাবমেরিন তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


73.ট্যানটালাম (Ta)

মোবাইল ফোন তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


74.টাংস্টেন (W)

বৈদ্যুতিক বাতির ফিলামেন্ট তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


75.রোনিয়াম (Re)

রকেট ইঞ্জিনে ব্যবহার হয় ।


76.ওসমিয়াম (Os)

কলম তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


77.ইরিডিয়াম (Ir)

স্পার্ক প্লাগ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


78.প্লাটিনাম (Pt)

গবেষণা কাজের যন্ত্রাংশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


79.গোল্ড (Au)

অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


80.মার্কারি (Hg)

উচ্চ তাপমাত্রা মাপার থার্মোমিটার তৈরিতে ব্যবহার হয়


81.থ্যালিয়াম (Ti)

শীতলতা মাপার থার্মোমিটার তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


82.লেড (Pb)

বন্দুকের গুলি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


83.বিসমাথ(Bi)

আগুন নেভানোর যন্ত্রে ব্যবহার হয় ।


84.পেলোনিয়াম (Po)

এন্টি-স্ট্যাটিক ব্রাশ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


85.অ্যাসটেটিন (At)

তেজস্ক্রিয় ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


86.রেডন (Rn)

টিউমার , ক্যান্সার নিরাময়ের কাজে ব্যবহার হয় ।


87.ফ্রান্সিয়াম (Fr)

পারমাণবিক গবেষণার কাজে ব্যবহার হয় ।


88.রেডিয়াম (Ra)

ঘড়ি,  যানবাহনের নির্দেশকে ব্যবহার হয় ।


89.অ্যাক্টিনিয়াম (Ac)

রেডিও ইমিউনোথেরাপিতে ব্যবহার হয় ।


90.থোরিয়াম (Th)

গ্যাস বাতি তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


91. প্রোট্যাকটিনিয়াম (Pa)

উচ্চ তেজস্ক্রিয়তার কারনে গবেষণা ছাড়া কোনো কাজে ব্যবহার হয় না ।


 92.ইউরেনিয়াম (U)

পারমাণবিক চুল্লির প্রধান উপাদান ।


93.নেপচুনিয়াম (Np)

মহাকাশযানের জেনারেটরে , নিউট্রন নির্দেশক হিসেবে ব্যবহার হয় ।


94.প্লুটোনিয়াম (Pu)

পারমাণবিক বোমা তৈরিতে ব্যবহার হয় ।


95.আমেরিসিয়াম (Am)

ধোঁয়া নির্ণয় যন্ত্রে ব্যবহার হয় ।


96.কিউরিয়াম (Cm)

খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার হয় ।


97.বার্কেলিয়াম (Bk)

তেমন কোনো কাজে ব্যবহার হয় না ।


98.ক্যালিফোর্নিয়াম (Cf)

খনিজ পদার্থ অনুসন্ধানের কাজে ব্যবহার হয় ।


99.আইনস্টাইনিয়াম (Es) থেকে 103.লরেনসিয়াম (Lr)

এগুলো প্রকৃতিতে  পাওয়া যায় না,  অতিমাত্রায় বিষাক্ত পদার্থ, শুধুমাত্র আণবিক গবেষণা ছাড়া কোনো কাজে ব্যবহার হয় না ।


104.রাদারফোর্ডিয়াম (Rf) থেকে 118.ওগানেসন (Og)

এগুলো বৈজ্ঞানিক গবেষণার বাইরে কোনো কাজে ব্যবহার হয় না ।

O এর শেষ কক্ষপথে বিজোড় ইলেকট্রন সংখ্যা ২। সে তার এই ২টি ইলেকট্রন দিয়ে খুব সহজেই H এর সাথে বন্ধন তৈরি করে। যা সমযোজী বন্ধন।

অক্সিজেনের তড়িৎ ঋণাত্মকতা (৩.৪৪) হাইড্রোজেন (২.২) অপেক্ষা বেশি। তাই বন্ধনের ইলেকট্রনগুলো অক্সিজেনের দিকে ঝুঁকে থাকে। ফলে অক্সিজেনে আংশিক ঋণাত্নকতা সৃষ্টি হয় এবং হাইড্রোজেনে আংশিক ধনাত্নকতা সৃষ্টি হয়। এভাবে একটি পোল তৈরি হয়।

তাই H2O একটি পোলার সমযোজী যৌগ।

পানি ( H2o) অর্থাৎ পানির একটি অনুতে দুইটি ধনাত্মক হাইড্রোজেন পরমাণু এবং একটি ঋণাত্মক অক্সিজেন পরমাণু বিদ্যমান। এই দুটি মৌল পরস্পরের সাথে তড়িৎচুম্বকীয় বন্ধনে যুক্ত থাকে। এখন এই পানির মধ্যে তড়িৎচালক করলে পানির অনু ভেঙে যায়, সেখান থেকে বেরিয়ে আসে অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন।

2H2O(l)=2H2(g)+O2(g)

l= Liquide= তরল

g=gas= বায়বীয়

হাইড্রোজেন পরমাণু যেহেতু ধনাত্মক আয়ন হিসেবে পানির অনুতে যুক্ত থাকে তাই যখন এর মধ্য দিয়ে তড়িৎ পরিচালনা করা হয় তখন এটা ঋণাত্মক ক্যাথোড দ্বারা আকৃষ্ট হয়, আর অক্সিজেন পরমাণু ঋণাত্মক আয়ন হবার দরুন ধনাত্মক অ্যানোড কর্তিক আকৃষ্ট হয়।

এভাবে পানি থেকে ও হাইড্রোজেন আলাদা করা যায়।

 

আপনি দম নেয়ার সময় শুধু অক্সিজেন না, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই অক্সাইড সহ সব ধরণের গ্যাসই গ্রহণ করেন। তবে আমাদের শরীর ওই বাতাস থেকে কেবল অক্সিজেনই শোষণ করে নেয় এবং নাইট্রোজেনের মতো বাকি অদরকারি গ্যাস বের করে দেয়। বাতাসে অক্সিজেনের অনুপাত প্রায় ২০% থাকে এবং নাইট্রোজেন মূলত অক্সিজেনের অনুপাত ঠিক রাখছে। নাইট্রোজেনের পরিমাণ কমে গেলে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন আপনার শারীরিক সমস্যার তৈরি করবে আর বেড়ে গেলে অক্সিজেনের স্বল্পতার জন্য মাথা ঘুরবে। মানে শ্বসনের জন্য নাক দিয়ে টেনে নেয়া মোট বাতাসের ২০% অক্সিজেন থাকলে সেটা আমাদের জন্য উপযোগী। নাইট্রোজেনের সাথে হিলিয়ামের মতো নিষ্ক্রিয় গ্যাস থাকলেও সমস্যা নেই।

সবুজ বর্ণের প্লাস্টিডকে ক্লোরোপ্লাস্ট বলে। ১৮৮৩ সালে শিম্পার সর্বপ্রথম উদ্ভিদকোষে ক্লোরোপ্লাস্ট আবিষ্কার করেন। 'ক্লোরোপ্লাস্ট ' নামটিও তারই দেয়া। ক্লোরোপ্লাস্টে বিভিন্ন ধরনের রঞ্জক পদার্থ থাকলেও ক্লোরোফিলের আধিক্যের কারনেই এর রং সবুজ হয়।

সংখ্যা: উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদকোষে সাধারণত ১০-৪০টি ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে। এককোষী শৈবাল (যেমন-Chlorella, Chlamydomonas)- তে একটি ক্লোরোপ্লাস্ট থাকে।

আকার-আকৃতি: উচ্চশ্রেণির উদ্ভিদের ক্লোরোপ্লাস্টে সাধারণত উভউত্তল লেন্সের মতো এবং এদের ব্যাস ৩.৫ মাইক্রন। আদি প্লস্টিডগুলো গোলাকার, এদের ব্যাস ০.৫ মাইক্রন। ক্লোরোপ্লাস্ট সাধারণত লম্বায় কোষের চেয়ে ছোট হয়, তবে Spirogyra -এর ক্লোরোপ্লাস্ট সোজা অবস্থায় কোষের চেয়েও লম্বা। শৈবালের ক্লোরোপ্লাস্ট বিভিন্ন গঠনাকৃতি হতে পারে।