Recent Post
Loading...



Mg(12)1s2 2s2 2p6 3s2

Ca(20) 1s2 2s2 2p6 3s2 3p6 4s2

পর্যায় সারণির ইলেক্ট্রন বিন্যাস অনুযায়ী Ca এর আকার Mg এর চেয়ে বড়। ধাতব বন্ধনের ওপর নির্ভর করে গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক হ্রাস বৃদ্ধি হয়। Mgএর গলনাঙ্ক 650°C, স্ফুটনাঙ্ক 1100°C। Caএর গলনাঙ্ক=850°C, স্ফুনাঙ্ক 1487°C। উভয়েই মৃৎক্ষার ধাতু, একই গ্রুপের সদস্য। কিন্তু উভয়ের পরমাণুর আকার ভিন্ন। Ca এর আকার Mg এর চেয়ে বেশি, এবং এরা আয়নিক যৌগ গঠন করে। আয়নিত অবস্থায় বন্ধন গড়নে এরা স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ দ্বারা যুক্ত থাকে। তাই এদের সাথে গঠিত যৌগ পরস্পরকে বিচ্ছিন্ন করতে ল্যাটিস এই স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষন বা ল্যাটিস এনথালপির মানকে অতিক্রম করতে হয়। এক্ষেত্রে যোজনী এক থাকলেও, যখন আকৃতির পরিবর্তন ঘটে, তখন অপেক্ষাকৃত বড় পরমাণুটির ল্যাটিস এনথালপির মান বেশি হয়, এবং তা অতিক্রম করতে তুলনামূলক বেশি শক্তি প্রয়োজন হয়। তাই, Mg ও Ca এর ক্ষত্রে পরমাণুর আকারটিই এর গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্কের কমবেশি হবার কারণ।



Fe এর ইলেকট্রন বিন্যাস করলে দেখা যায় যে, এর 3d অরবিটালে 6 টি ইলেক্ট্রন ও সর্বশেষ স্তর 4s এ ২ টি ইলেক্ট্রন আছে।

আমরা জানি যে, d অরবিটালে সর্বোচ্চ ১০ টি ইলেক্ট্রন থাকতে পারে। আর অরবিটাল পরিপূর্ণ বা অর্ধপূর্ণ থাকলে মৌলটি অধিক স্ট্যাবল থাকে।

প্রথমে Fe তার 4s অরবিটালের দুটি ইলেকট্রন খুব সহজেই দান করে দেয়। তখন তার যোজনী হয় ২।

পরবর্তীতে স্ট্যাবল হওয়ার জন্য 3d এর একটি ইলেকট্রন 4p তে চলে যায়, এতে করে তার d অরবিটাল অর্ধপূর্ণ হয় অর্থাৎ স্ট্যাবিলিটি অর্জন করে। আর 4p তে চলে যাওয়ার ফলে সর্বঃবহি স্তরে মোট ইলেকট্রন হয় মোট তিনটি। এই তিনটি ইলেকট্রনও Fe ডোনেট করে যৌগ গঠন করে। এতে করে তার যোজনী হয় তিন এবং তখন 3d অরবিটালে মোট ইলেকট্রন থাকে 5 টি।

এখানে বলে রাখা ভালো যে, Fe2+ থেকে Fe3+ যৌগ অধিক স্ট্যাবল, এবং Fe3+ যৌগের আধিক্য বেশি।



পরমাণুতে ইলেকট্রনের উচ্চ ঘনত্ব সম্পন্ন অঞ্চলকে অরবিটাল বলে।

কোয়ান্টাম সংখ্যা অনুসারে পরমাণুতে ইলেকট্রন এর সঠিক অবস্থান ব্যাখ্যা করা যায়। কোয়ান্টাম সংখ্যা চারটি যথাক্রমে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা (n), সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা ( l ), চুম্বকীয় কোয়ান্টাম সংখ্যা ( m) , স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা (s)। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যার মান থেকে অরবিটালের সম্ভাব্যতা ব্যাখ্যা করা যায়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা দ্বারা পরমাণুর আকৃতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l - এর মান 0 (শুণ্য) হলে s- অরবিটাল সম্ভব,
l - এর মান 1 (এক) হলে p- অরবিটাল সম্ভব,
l - এর মান 2 (দুই) হলে d- অরবিটাল সম্ভব,
l - এর মান 3(তিন) হলে f- অরবিটাল সম্ভব।

প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n এর মান 1, 2, 3, 4 ইত্যাদি পূর্ণ সংখ্যা হয়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l এর মান শূন্য থেকে (n - 1) পর্যন্ত হয়।

অর্থাৎ l = 0, 1, 2, 3 ইত্যাদি হয়। সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার উপর নির্ভর করে।

1p, 1d, 1f -অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
n-এর মান 1 হলে,

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0 তাই প্রথম শক্তিস্তরে শুধু 1s অরবিটাল সম্ভব। কিন্তু 1p, এমনকি 1d,1f- অরবিটাল ও সম্ভব নয়।

আবার, 2d,2f- অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা n-এর মান 2 হলে,

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0, 1. তাই এক্ষেত্রে দ্বিতীয় শক্তিস্তরে শুধু 2s ও 2p অরবিটাল সম্ভব হলেও 2d,2f- অরবিটাল সম্ভব নয়।

আবার, 3f- অরবিটালের জন্য প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা
n-এর মান 3 হলে,

সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা l = 0, 1, 2. অর্থাৎ তৃতীয় শক্তিস্তরে শুধু 3s, 3p ও 3d- অরবিটাল সম্ভব কিন্তু 3f- অরবিটাল সম্ভব নয়।



#লা শাতেলিয়ার নীতি :

#তাপের প্রভাব:

তাপের প্রভাব নির্ভর করে তাপমাত্রার পরিবর্তন এর উপর i.e, বিক্রিয়াটি তাপ উত্‍পাদী কিংবা তাপহারী তার উপর ।

(i) বিক্রিয়াট তাপ তাপহারী হলে তাপমাত্রা বাড়ালে বিক্রিয়াটির সাম্যবস্থা বাম হতে ডান দিকে গিয়ে উত্‍পাদের পরিমান বূদ্ধি করে ।

(ii) বিক্রিয়াটি উত্‍পাদী হলে তাপ বাড়ালে বিক্রিয়াটির সাম্যবস্থা ডান হতে বাম দিকে অগ্রসর হয়ে উত্‍পাদের পরিমান হ্রাস পায় ।

#চাপের প্রভাব:

চাপের প্রভাব নির্ভর করে অনুর সংখ্যা পরিবর্তনের উপর।

অনুর সংখ্যা পরিবর্তনের মান শূন্য হলে চাপের কোন প্রভাব নেই।

আর অনুর সংখ্যা পরিবর্তনের মান

(i) যদি ধনাত্মক হয় , তবে চাপ বাড়ালে বিক্রিয়াটির সাম্যবস্থা ডান হতে বামে অগ্রসর হয়ে উত্‍পাদের পরিমান হ্রাস পায়।

(ii) যদি মান Negative হয় , তবে চাপ বাড়ালে বিক্রিয়াটির সাম্যবস্থা বাম হতে ডানে অগ্রসর হয়ে উত্‍পাদের পরিমান বূদ্ধি পায় ।



কোন পরমানুর সর্ববহিস্থ শক্তিস্তর হতে একটি ইলেক্ট্রনকে অসীম দূরত্বে নিয়ে গিয়ে পরমানুটিকে ধনাত্নক আধানে পরিনত করতে যে পরিমাণ শক্তি ব্যয় করতে হয়, তাকে আয়নিকরণ শক্তি বলে৷

ম্যাগনেসিয়াম ও এলুমিনিয়াম এর মধ্যে Al এর আয়নিকরন শক্তি বেশি।

কারণ Al পর্যায় সারণীতে একই পর্যায়ে Mg এর ডানে অবস্থিত। আমরা জানি একই পর্যায়ের বাম থেকে ডানে গেলে আয়নিকরণ বিভব বৃদ্ধি পায়৷ কারণ সর্বশেষ শক্তিস্তরের ইলেকট্রন সংখ্যা যত বেশি হবে নিউক্লিয়াসের সাথে তার আকর্ষণ তত বৃদ্ধি পাবে, তাই সর্বশেষ শক্তিস্তর তত নিউক্লিয়াসের এর কাছে অবস্থান করবে। পারমানবিক ব্যসার্ধ তত কমে যাবে৷

তখন একটি ইলেক্টন সর্ববহিস্থ শক্তিস্তর থেকে অসীমে নিয়ে যেতেও বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। তাই, ম্যাগনেসিয়ামের চেয়ে এলুমিনিয়ামের আয়নিকরন বিভব বেশি।



এসিটিক এসিড (Acetic Acid) [অপর নাম ইথানয়িক এসিড (CH3COOH) ]এর 5–8% (v/v) জলীয় দ্রবনকে ভিনেগার বলে।

এখন এসিটিক এসিড হলো জৈব এসিড। এদের বিয়োজন মাত্রা খুব কম, যার কারনে জৈব এসিডকে দূর্বল এসিড বলা হয়।

ভিনেগার জৈব এসিড (এসিটিক এসিড) দিয়ে তৈরী করা হয় বলে এটাকে "দূর্বল এসিড" বলা হয়।



নিষ্ক্রিয় গ্যাস গুলাকেই নোবেল গ্যাস বলা হয়। কারণ তারা কারো সাথেই স্বাভাবিক অবস্থায় বিক্রিয়া করতে চায় না।

নিষ্ক্রিয় গ্যাস বলতে পর্যায় সারণীর ১৮তম শ্রেণীর[১] মৌলগুলোকে বোঝায়। কখনওবা একে অষ্টম শ্রেণী, হিলিয়াম পরিবার বা নিয়ন পরিবার নামে ডাকা হয়। ইংরেজিতে সচরাচর Gas হিসাবে অভিহিত। এই শ্রেণীতে অবস্থিত গ্যাসগুলো রাসায়নিকভাবে খুবই নিষ্ক্রিয়, কারণ এদের পরমাণুর সর্ববহিরস্থ কক্ষপথে ইলেকট্রনের সংখ্যা পরমাণুর সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতার সমান অর্থাৎ ৮টি। এর মধ্যে সুস্থিত ইলেক্ট্রণসমূহ থাকায় অন্য কোন মৌলের সাথে সহজে বিক্রিয়া করতে চায় না। সাধারণ অবস্থায় এগুলো বর্ণহীন, গন্ধহীন এবং এক পরমাণুক গ্যাস



প্রথমত, উপরোক্ত প্রশ্নটার উত্তর জানার আগে আমাদের জানতে হবে 'অ্যাসিড' কাকে গলিয়ে দিতে পারে? এমন কি বৈশিষ্ট্য থাকা চাই, যার জন্য অ্যাসিড সেটাকে গলিয়ে দিতে পারবে?

উত্তরের স্বপক্ষে, তিনটি পয়েন্ট জানা যাক,

1● অ্যাসিড কিন্তু ধাতু(metal) কে নিমজ্জিত(dissolve) করতে পারেনা।

2● অ্যাসিড, যাদের PH এর মান 4 এর কম তারাই মূলত বার্নিং প্রোপার্টি সো করে।(exceptions are always there)

3● অ্যাসিড, মূলত কাঁচের পাত্রগুলিতে আয়নিক (ionic) অবস্থায় থাকে।

ওপরের তিনটি জিনিস জানলেই, সরাসরি উত্তরে আসা যাবে।

অ্যাসিড সবকিছুই গলাতে পারেনা, মূলত ধাতু কে(metal) । আর এখানে কাঁচ হলো ধাতু , এর মধ্যে সিলিকা রয়েছে। তাই একে সব অ্যাসিড নিমজ্জিত করতে পারবেনা।

আর দ্বিতীয়ত, অ্যাসিড গুলি কাঁচের পাত্রে আয়নিক(H+,X-) অবস্থায় থাকে,HF ছাড়া।(ওই যে বললাম, exception আছে)

তাহলে,কেন শক্তিশালী অ্যাসিড কাঁচ গলিয়ে দেয়না তার উত্তর দিলাম। কিন্তু, HF কেন কাঁচ গলিয়ে দেয়,সেটার উত্তরটা আর দিলামনা। উত্তরটা যতটা পারলাম, টু দা পয়েন্ট আর ছোট রাখার চেষ্টা করলাম।



পৃথিবীতে হাজারো রকমের জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থ আছে। তার মধ্যে বেশ কয়েক প্রকার জৈব পদার্থকে আমরা প্লাস্টিক বলে জানি। প্লাস্টিক কোনো নির্দিষ্ট একটি পদার্থ নয়। মূলত থার্মোপ্লাস্টিক থেকে প্লাস্টিক নামটি এসেছে। আমরা যে সব বস্তুকে প্লাস্টিক বলে জানি সেগুলো হলো এক ধরনের পলিমার। এই পলিমার উৎপন্ন হয় খনিতে পাওয়া পেট্রোলিয়ামের উপজাত হিসেবে।

সুতরাং আমরা জানলাম প্লাস্টিক অনেক প্রকারের এবং বাজারে যখন তা কোনো পণ্যের আদলে আসে সেটার মধ্যে আরও কিছু পদার্থ মিশ্রিত করা হয়। বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিকের গলনাঙ্ক আলাদা হয়। যেমন:

  • পলিইথিলিন টেরেফথ্যালেট (Polyethylene terephthalate /PET or recyclable 1) এর গলনাঙ্ক ২৫৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
  • উচ্চ-ঘনত্ব ও নিম্ন ঘনত্বের পলিইথিলিন (High-density and low-density polyethylenes -- HDPE and LDPE, or recyclables 2 and 4) এর গলনাঙ্ক যথাক্রমে ১৩০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং ১২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
  • পলিপ্রোপাইলিন (Polypropylene, or recyclable 5) ১২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।
  • পলিস্টিরিন (polystyrene, recyclable 6 plastic) ১০০ থেকে ১২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গলে যায়।
  • পলিভিনাইল ক্লোরাইড বা পিভিসি, (Polyvinyl chloride plastics / PVC) যেটা বাসা বাড়িতে বা দৈনন্দিন কাজে আমরা অনেক বেশি ব্যবহার করি, সেটার গলনাঙ্ক ৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

এরকম আরও অনেক রকমের প্লাস্টিক পদার্থ আছে যেগুলোর গলনাঙ্ক ভিন্ন ভিন্ন।


 

হাইড্রোজেন 

(H) ( প্রমাণ পারমাণবিক ভর: ১.০০৭৯৪ u) এর প্রাকৃতিকভাবে সংঘটিত ৩টি আইসোটোপ রয়েছে, যা মাঝে মাঝে 1H, 2H এবং 3H দ্বারা প্রকাশ করা হয়। অন্যান্যগুলো অত্যন্ত অস্থিতিশীল নিউক্লিয়াস (4H থেকে 7H), যা গবেষণাগারে কৃত্রিম উপায়ে তৈরী কিন্তু প্রকৃতিতে সংঘটিত হয় না। সবচেয়ে স্থিতিশীল রেডিওআইসোটোপ হল টিট্রিয়াম, যার অর্ধ জীবন ১২.৩২ বছর। সকল ভারী আইসোটোপই কৃত্রিম এবং এক জেপ্টোসেকেন্ডের (১০−২১ সেকেন্ডে) চেয়েও কম অর্ধ জীবন রয়েছে। যার মধ্যে 5H হল সবচেয়ে স্থিতিশীল এবং সবচেয়ে কম স্থিতিশীল আইসোটোপ হল 7H[১][২]

হাইড্রোজেন হল একমাত্র উপাদান যার আইসোটোপসমূহ আজকাল বিভিন্ন নামে ব্যবহার করা হয়। ২H (অথবা হাইড্রোজেন-২) আইসোটোপকে সাধারণত ডিউটেরিয়াম বলা হয় এবং ৩H (অথবা হাইড্রোজেন-৩) আইসোটোপকে সাধারণত ট্রিটিয়াম বলা হয়। D এবং T অক্ষর দুটি (২H ও ৩H এর পরিবর্তে) কখনও কখনও ডিউটেরিয়াম এবং ট্রিটিয়াম এর পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি পেশ করা হয় না কারণ এটি রাসায়নিক সূত্রের বর্ণানুক্রমিক শ্রেণীবিভাজনে সমস্যা সৃষ্টি করে। হাইড্রোজেনের একটি সাধারণ আইসোটোপ যার কোন নিউট্রন নেই তাকে কখনও কখনও প্রোটিয়াম বলা হয়।