Recent Post
Loading...



HCHO হলো এলডিহাইড (ফরমালডিহাইড বা মিথান্যাল)

আর CH3COOH হলো এসিড (ইথানয়িক এসিড বা এসিটিক এসিড)

এলডিহাইড তো অম্লীয় নয়।

তাই CH3COOH-ই অম্লীয় বা আপনার ভাষায় বেশি অম্লীয়।


HCOOH বেশি অম্লীয়, কারণ HCOOH এর Ka এর মান 1.8×10–⁴ যার Ka এর মান বেশি সে তত বেশি অম্লীয়। CH3COOH এর Ka এর মান 1.8×10–⁵ তাই HCOOH বেশি অম্লীয়।



উত্তর : বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ পলোনিয়াম.!!

পলোনিয়াম কী?

পলোনিয়াম ২১০ বিশ্বের বিরলতম পদার্থগুলোর একটি৷ ১৮৯৮ সালে বিজ্ঞানী দম্পতি মেরি ও পিয়েরে কুরি এই পদার্থটি আবিষ্কার করেন৷ এই বিজ্ঞানীদ্বয়ের দেশ পোল্যান্ডের নাম অনুসারে সেই পদার্থের নাম রাখা হয় পলোনিয়াম৷ ভূপৃষ্ঠের শক্ত আবরণে খুব নিম্ন ঘনত্বে প্রাকৃতিকভাবেই এই পদার্থের সৃষ্টি হতে পারে৷ তবে পারমাণবিক চুল্লিতেও কৃত্রিমভাবে এটির উৎপাদন সম্ভব৷ শিল্প-কারখানায় যন্ত্রপাতি স্থির বিদ্যুৎমুক্ত করতে অল্প পরিমাণে এই পদার্থটি ব্যবহার করা হয়….!!



অ্যালকেন গ্রুপের সমগোত্রীয় শ্রেণীর সাধারণ সঙ্কেত হল- CnH2n+2.

প্রথম সদস্যের জন্য n এর মান হবে ১। সেক্ষেত্রে প্রথম সদস্য হবে, CH4, অর্থাৎ মিথেন। একইভাবে, অ্যালকিন গ্রুপের সাধারণ সঙ্কেত CnH2n অনুযায়ী প্রথম সদস্য হবার কথা CH2. যার নাম দেওয়া যেত *মিথিন*!

কিন্তু এখানে একটা কথা আছে, তা হলো, কার্বনের যোজনী। কার্বনের স্থায়ী একটি যৌগ পেতে হলে এর চার হাত পূরণ করতে হবে, যার সাধ্য *মিথিন* এর নেই! এজন্যই অ্যালকিন গ্রুপের প্রথম সদস্যের ক্ষেত্রে n এর মান হয় ২ এবং প্রথম সদস্যের নাম ইথিন।

অ্যালকিন বা অলিফিন হলো অসম্পৃক্ত হাইড্রোকার্বন যাতে অবশ্যই একটি বা একাধিক কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (>C=C<) থাকবে। মনে রাখতে হবে, অ্যালকিনে কমপক্ষে একটি কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (C=C) থাকবেই। এর সাধারণ রাসায়নিক ফর্মূলা হলো CnH2n। এবার এখানে n এর মান n=1,2,3,4…… বসাই।

n=1 বসালেই প্রথম ক্ষুদ্রতম Organic Compound টি পেয়ে যাবার কথা। পেলাম, C1H2*1 বা CH2। আমরা জানি, কার্বনের যোজনী ৪ অর্থাৎ ৪টি হাত। যৌগটি স্থায়ী হবার জন্য কার্বনের ৪টি হাতই পূরণ হতে হবে। কিন্তু, এখানে ২টি হাইড্রোজেন (H) কার্বনের দুটি হাত পূরণ করেছে। আরো ২টি হাত বাকি থাকে (— CH2—)। অর্থাৎ একটি কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (C=C) সম্বলিত কোন স্থায়ী ক্ষুদ্রতম যৌগ পাওয়া গেল না যার নাম হবার কথা ছিল "মিথিন"।

এখন, n=2 বসাই, C2H2*2 বা C2H4। এবার একটি স্থায়ী যৌগ পাওয়া গেল যার একটি কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন (C=C) আছে। অতএব, অ্যালকিনের স্থায়ী প্রথম সদস্যের গঠন পাওয়া গেল (C2H4)। যার নাম রাখা হয়েছে ইথিন। এর দ্বিমাত্রিক গঠন ঃ

IUPAC* অনুসারে নামকরণ এর বেলায় n এর মান 1 বসিয়ে প্রাপ্ত যৌগটি প্রথম সদস্য ও যার নাম হবার কথা ছিল মিথিন। কিন্তু প্রথমটিকে স্থায়ী কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন যুক্ত যৌগ হিসেবে না পাওয়ায়, n এর মান 2 বসানোতে প্রাপ্ত দ্বিতীয় যৌগটি স্থায়ী ও কার্বন-কার্বন দ্বিবন্ধন যুক্ত যৌগ হবার কারনে অ্যালকিনের প্রথম বা ক্ষুদ্রতম সদস্য হবে ইথিন।


যে সকল যৌগের অণুতে কমপক্ষে একটি

কাবন —কাবন দ্বি-বন্ধন (C=C) বিদ্যমান তারাই হলো অ্যালকিন।

অ্যালকিনের ক্ষুদ্রতম সদস্য ইথিন। ইথিন যদি ক্ষুদ্রতম সদস্য না হয় তাহলে যে যৌগটি ক্ষুদ্রতম সদস্য হবে তার কাবন সংখ্যা ইথিন(C₂H₄) থেকে এক কম হতে হবে। কারণ একই সমগ্রোএীয় শ্রেণীর দুটি সদস্য এর মধ্যে (— CH₂) বা মিথিলিন মূলকের পাথ্যর্ক থাকে। কিন্তু ইথিন(C₂H₄) থেকে কাবন সংখ্যা এক কম হলে তার কাবন সংখ্যা হবে 1। ফলে কাবন —কাবন দ্বি-বন্ধন (C=C) গঠন সম্ভব হবে না।

অ্যালকিন এর সাধারণ সংকেত হলো CₙH₂ₙ

এখন n=1 হলে C₁H₂.₁ = CH₂ যা সম্ভব নয়। কারণ অ্যালকিন হতে হলে কমপক্ষে 2টি কার্বন পরমাণু থাকতে হবে এবং কমপক্ষে 2টি কার্বন পরমাণুর মধ্যে কমপক্ষে 1টি কাবন-কাবন দ্বি-বন্ধন (C=C) থাকতে হবে।

n=2 হলে C₂H₂.₂ →C₂H₄ বা, H₂C=CH₂ (ইথিন)

এইখানে 2টি কাবন পরমাণু এবং 1টি কাবন —কাবন দ্বি-বন্ধন (C=C) আছে।

n=3 হলে C₃H₂.₃ → C₃H₆ বা,

H₃C—HC=CH₂(প্রোপিন)

এইখানে তিনটি কাবন পরমাণু এবং 1টি কাবন কাবন দ্বি-বন্ধন (C=C) আছে।

এজন্য ইথিন অ্যালকিনের ক্ষুদ্রতম সদস্য।

*IUPAC = International Union of Pure and Applied Chemistry



ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড কিন্তু আয়নিক বন্ডের মাধ্যমে গঠিত। এই বন্ড গঠন করতে ম্যাগনেসিয়াম ২ টি ইলেক্ট্রন ত্যাগ করে নিয়নের ইলেকট্রনিক কনফিগারেশনে পৌঁছায়। প্রতিটি ক্লোরিন ১ টি করে ইলেক্ট্রন গ্রহণ করে আর এভাবে মোট ২ টি নেগেটিভ চার্জে চার্জিত ক্লোরিন আয়ন তৈরি হয়। ম্যাগনেসিয়ামে পজিটিভ চার্জ আর ক্লোরিনের নেগেটিভ চার্জ পরস্পর আকর্ষণ করে আর বন্ড গঠন করে। এভাবে ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড গঠিত হয়।

পানি একটি পোলার কোভ্যালেন্ট কম্পাউন্ড। এতে পোলার সমযোজী বন্ধন আছে আর এই বন্ড সহজে ভাংতেও চায় না। তাই যখন ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড পানিতে ছেরে দেন, তখন পানির পজিটিভ প্রান্ত ক্লোরিন আয়নকে টেনে নেয় আর নেগেটিভ প্রান্ত ম্যাগনেসিয়াম আয়ন টেনে নেয়। এভাবে ম্যাগ্নেসিয়াম ক্লোরাইড পানির মধ্যে সমানভাবে ছড়িয়ে পড়ে আর দ্রবীভূত হয়।

 

তাপমাত্রা একই অর্থাৎ 25Deg C ( 298Deg K)রেখে চাপ 5Atm করলে নাইট্রোজেনের ঘনত্ব কত আমরা সরাসরি বের করতে পারি এই ভাবে ।

সাধারন notation বজয় রেখে Gas Law হল :

PV = nRT ; একই তাপমাত্রায় চাপ তিনগুণ করা হলে,

এখানে P= 3,R= 0.08 ,T=298

অতএব , ঘনত্ব = n/V = P/RT = 3/(0.08 x 298) = 3/23.84= 0.125 gMoles /L
একে g/L এ পরিবর্তিত করলে নইট্রোজেনের মোলার ভর অর্থাৎ 28 দিয়ে গুন করতে হবে ।
Density = 0.125 x 28 = 3.52 g/L

আবার P= 1 atm হলে

ঘনত্ব = 28 x n/V = P/RT = 28/(0.08 x 298) = 28/23.84=1.18 g/L

অর্থাৎ একই তাপমাত্রায় চাপ তিনগুণ করা হলে গ্যাসের ঘনত্ব তিনগুন বাড়বে।
—————————————————————————————————-

এর থেকে অনেক সহজ ভবে জানা যায় এই ভাবে :

PV = nRT

অতএব n/V = P/RT
T অপরিবর্তিত রেখে P—>3P হলে n/V ও 3 গুন বেড়ে যাবে,কারন R একটি ধ্রূবক।

অর্থাৎ একই তাপমাত্রায় চাপ তিনগুণ করা হলে গ্যাসের ঘনত্ব তিনগুন বাড়বে।



 XeCl₆ আসলেই গঠন সম্ভব কিনা আমি সঠিক জানি না। সম্ভব হলেও হয়তোবা স্থায়ীত্ব কম। তবে XeF₄ গঠন সম্ভব।

পঞ্চম পর্যায়ের মৌল জেননের (Xe) পরমাণুর আকার অন্যসব হ্যালোজেন সদস্যের আকারের চেয়ে বড়ো। আকারে বড়ো হওয়ায় এটির সর্ববহিস্থ কক্ষপথের ইলেকট্রনের উপর নিউক্লিয়াসের আকর্ষণ সাধারণভাবেই কমে যায়। উচ্চ তাপমাত্রায় Ni প্রভাবকের উপস্থিতিতে অতি সক্রিয় ও সর্বাধিক তড়িৎ ঋণাত্মক ফ্লোরিন (F) পরমাণুর উপস্থিতিতে জেননের 5p অরবিটালের ইলেকট্রন যুগল ভেঙে এর 5d অরবিটালে বিজোড় ইলেকট্রনে স্থানান্তরিত হয়। পরে অযুগ্ম বা বিজোড় ইলেকট্রন ফ্লোরিন পরমাণুর সাথে সমযোজী যৌগ গঠন করে থাকে। তখন জেনন +2, +4, +6, +8 জারণ-অবস্থায় থাকে।

জেনন অপেক্ষা ক্রিপ্টনের (Kr) উদ্দীপিত অবস্থা সৃষ্টি অধিকতর কঠিন। কারণ ক্রিপ্টনের সর্বশেষ শক্তিস্তর জেননের তুলনায় কাছাকাছি। তাই ক্রিপ্টনের যৌগসমূহের স্থিতি জেননের যৌগসমূহের স্থিতির তুলনায় কম; আর্গনের (Ar) যৌগসমূহের স্থিতি আরও কম। হিলিয়াম (He), নিয়নের (Ne) ক্ষেত্রে প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার মান পরিবর্তন ছাড়া ইলেকট্রনকে উদ্দীপিত করা সম্ভব নয়; ফলে তাদের ক্ষেত্রে প্রচুর শক্তির প্রয়োজন হয়। তাই তাদের কোনো স্থিতিশীল যৌগ নেই।

জেনন ও অন্যায় নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ইলেকট্রনকে উচ্চতর স্তরে আনা তখনই সম্ভব যখন অতি উচ্চ তড়িৎ-ঋণাত্মক মৌলসমূহ এর সাথে যুক্ত হয়। এ কারণে নিষ্ক্রিয় গ্যাসের শুধু ফ্লোরিন অধিকতর স্থিতিশীল যৌগ গঠন করে।

উৎস: সরোজ কান্তি সিংহ হাজারী, হারাধন নাগ রসায়ন প্রথম পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি), হাসান বুক হাউজ, ঢাকা (জুন ২০১৬), পৃষ্ঠা ১৮৫



আমাদের যে ফ্যাক্টরটি সম্পর্কে জানতে হবে তা হল বিভিন্ন যৌগ দ্বারা প্রদর্শিত ব্যাসার্ধ ধরন।

সমযোজী ব্যাসার্ধ: সমযোজী ব্যাসার্ধ বলতে একই রাসায়নিক প্রজাতির দুটি একক বন্ধনযুক্ত সমযোজী পরমাণুর দূরত্বের অর্ধেক বা অন্য কথায় হোমোনিউক্লিয়ার X−X বন্ডকে বোঝায়।

ভ্যান ডের ওয়ালস ব্যাসার্ধ: একই রাসায়নিক প্রজাতির দুটি বন্ধনবিহীন পরমাণুর দুটি নিউক্লিয়াসের মধ্যে বিচ্ছেদের অর্ধেক হিসাবে উল্লেখ করা হয় তাদের সম্ভাব্য নিকটতম পদ্ধতিতে।

যখন আমরা পারমাণবিক ব্যাসার্ধের আকারগুলি তুলনা করি তখন আমাদের অর্ডার থাকে:

ভ্যান ডের ওয়ালস > সমযোজী ব্যাসার্ধ।

আমরা গ্রুপ সতেরো থেকে হ্যালোজেন গ্রুপ আঠারো বা একটি নিষ্ক্রিয় গ্যাসে চলে যাওয়ার সাথে সাথে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ হঠাৎ বৃদ্ধি পায়।

এখন, নোবেল গ্যাসগুলির তুলনামূলকভাবে বড় পারমাণবিক আকারের প্রকৃত কারণ হল কারণ নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ক্ষেত্রে সমস্ত অরবিটাল সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ হয় মানে তাদের s2p6 কনফিগারেশন রয়েছে এবং তাই আন্তঃ ইলেকট্রনিক বিকর্ষণ সর্বাধিক হয় যার ফলে তারা অণু গঠন করে না। নিষ্ক্রিয় গ্যাসের ক্ষেত্রে পারমাণবিক ব্যাসার্ধ ভ্যান ডের ওয়ালস ব্যাসার্ধ দ্বারা নির্ধারিত হয় যা সমযোজী ব্যাসার্ধের পাশাপাশি আয়নিক ব্যাসার্ধের চেয়েও বড়।



প্রথমত আলোক নির্ভর পর্যায়ে পানি বা H2O থেকে ফটোলাইসিসের সময় ইলেক্ট্রনের বর্জন ঘটে।তাই বলা যায় H2O এর জারণ ঘটেছে।

এই ইলেকট্রন আবার ADP এর সাথে যুক্ত হয়ে পরবর্তীতে আলোক নিরপেক্ষ পর্যায়ে CO2 এর দারস্থ হয়।তাই আলোক নিরপেক্ষ পর্যায়ের আরেক নাম CO2 বিজারণ পর্ব।

তবে এক বাক্যে বলতে গেলে আলা যায় এই জৈব রাসায়নিক বিক্রিয়ায় ইলেক্ট্রন আদান-প্রদান ঘটে থাকে তাই একে জারণ বিজারণ বলে।


সূর্যালোকের উপস্থিতিতে উদ্ভিদের খাদ্য তৈরি করে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে


সালোকসংশ্লেষ শব্দটি দুটি গ্রিক শব্দ photos (অর্থ: আলোক; এখানে সূর্যালোক) ও synthesis (অর্থ: সংশ্লেষণ, বা তৈরি করা) এর সমন্বয়ে গঠিত। আবার সালোকসংশ্লেষ কথাটি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়,সালোক শব্দটির অর্থ হলো--সূর্যালোকের উপস্থিতি এবং সংশ্লেষ শব্দটির অর্থ--কোনো কিছু উৎপাদিত হওয়া। এক কথায় সালোকসংশ্লেষ এর অর্থ দাঁড়ায় সূর্যালোকের উপস্থিতিতে রাসায়নিক সংশ্লেষ।যে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবুজ উদ্ভিদ কোষে সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, পরিবেশ থেকে গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) ও মূল দ্বারা শোষিত জলের বিক্রিয়ায় শর্করা জাতীয় খাদ্যের সংশ্লেষ ঘটে এবং গৃহীত কার্বন ডাইঅক্সাইডের সমপরিমাণ অক্সিজেন প্রকৃতিতে নির্গত হয়, তাকে সালোকসংশ্লেষ বলে। এই প্রক্রিয়ায় সজীব উদ্ভিদকোষে উপস্থিত ক্লোরোফিল নামক রঞ্জক আলোকশক্তিকে রাসায়নিক শক্তিতে রূপান্তরিত করে এবং তা উৎপন্ন শর্করাজাতীয় খাদ্যের মধ্যে স্থিতিশক্তি রূপে সঞ্চিত রাখে। এই শক্তি পরবর্তীকালে স্বভোজী উদ্ভিদ দ্বারা অথবা শাকাহারী প্রাণীদের গৌণ পুষ্টিতে সাহায্য করে। সবুজ উদ্ভিদ ছাড়া কিছু জীবাণু এবং কিছু আদ্যপ্রাণীর মধ্যেও এই প্রক্রিয়া পরিদৃষ্ট হয়। যে শারীরবৃত্তিয় জারণ-বিজারণ প্রক্রিয়ায় কিছু জীবাণু, আদ্যপ্রানী ও ক্লোরোফিল যুক্ত সজীব কোশে (উদ্ভিদ) সূর্যালোকের উপস্থিতিতে, পরিবেশ থেকে গৃহিত কার্বন ডাই অক্সাইড ও মূলরোম দ্বারা শোষিত জলের রাসায়নিক বিক্রিয়ায় সরল শর্করা জাতীয় খাদ্য উৎপন্ন হয় ও কার্বন ডাই অক্সাইডের সমপরিমান অক্সিজেন উত্পন্ন হয় এবং সৌরশক্তির আবদ্ধ ঘটে, তাকে বা সেই

সালোকসংশ্লেষণকারী অঙ্গসমূহ

  • পাতার সবুজ অংশ
  • কচি সবুজ কান্ড
  • থ্যালয়েড সবুজ উদ্ভিদের থ্যালাস
  • ফুলের সবুজ বৃতি ও বৃন্ত
  • ফলের সবুজ ত্বক
  • সাইটোপ্লাজম

সালোকসংশ্লেষণের উপাদান

  • প্রধান উপাদান
  • পানি (H2O)
  • কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)
  • সূর্যালোক
  • ক্লোরোফিল

সাহায্যকারী উপাদান

  • কো-এনজাইম
  • ADP( adenosine diphosphate)
  • NADP( Nicotinamide adenine dinucleotide phosphate)
  • RuDP( Ribulose Disphosphate)
  • RuBP( Ribulose Bisphosphate)

সালেকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া

সালেকসংশ্লেষণ এর বিক্রিয়া:- 6CO2 + 12H2O +তাপ→ C6H12O6+6H2O+6O2 সালেকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া ২টি পর্যায়ে সম্পন্ন হয়-

ক) আলোক নির্ভর পর্যায় খ) অন্ধকার পর্যায়



কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো মৌল বা কোনো যৌগের আয়ন কর্তৃক ইলেকট্রন ত্যাগের ঘটনাকে জারণ এবং ইলেকট্রন গ্রহণের ঘটনাকে বিজারণ বলে। জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ অন্য পদার্থকে জারিত করে বা অন্য পদার্থের জারণ ঘটায়, তাকে জারক এবং যে পদার্থ অন্য পদার্থকে বিজারিত করে বা অন্য পদার্থের বিজারণ ঘটায়, তাকে বিজারক বলে। এখানে, জারক পদার্থটির ইলেকট্রন গ্রহণ করার প্রবণতার কারণেই তা বিক্রিয়ায় উপস্থিত অন্য রাসায়নিক পদার্থকে ইলেকট্রন ত্যাগ করে জারিত হতে সাহায্য করে এবং বিজারক পদার্থ নিজে ইলেকট্রন ত্যাগ করে,অন্য পদার্থকে ঐ ত্যাগকৃত ইলেকট্রন গ্রহণ করে বিজারিত হতে সাহায্য করা। আর খুব সহজে জারক-বিজারক শনাক্ত করার একটি চমৎকার কৌশল 'জাগ্রত বিদ্বান'-এই কথাটি মনে রাখা! এ থেকে চট করে মনে করতে পারবেন-জারক ইলেকট্রন গ্রহণ করে (জা+গ্রত) ও বিজারক ইলেকট্রন দান করে (বি+দ্বান)।


জারণ :
১. e- এর অপসারণ

২. ধনাত্মক চার্জ এর মান বাড়ে
৩. ঋণাত্মক চার্জ এর মান কমে
বিজারণ :
১. e- এর সংযোজন

২. ধনাত্মক চার্জ এর মান কমে
৩. ঋণাত্মক চার্জ এর মান বাড়ে

জারণ = ইলেক্ট্রন ত্যাগ

বিজারণ = ইলেক্ট্রন গ্রহণ
জারক = ইলেক্ট্রন গ্রহণ
বিজারক = ইলেক্ট্রন ত্যাগ

জারণ [Oxidation]:-

• সংজ্ঞা:- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো অণু, পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন ত্যাগ করে তাকে জারণ বলে । জারণেরঅর্থ ইলেকট্রন ত্যাগ ।

বিজারণ [Reduction]:-

• সংজ্ঞা:- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কোনো অণু, পরমাণু বা আয়ন এক বা একাধিক ইলেকট্রন গ্রহণ করে তাকে বিজারণ বলে । বিজারণের অর্থ ইলেকট্রন গ্রহণ ।

জারক পদার্থ [Oxidising agents]:- যে পদার্থ রাসায়নিক বিক্রিয়া কালে অন্য পদার্থকে জারিত করে নিজে বিজারিত হয় তাকে জারক পদার্থ বলে।

বিজারক পদার্থ [Reducing agents]:- রাসায়নিক বিক্রিয়ার সময় যে পদার্থ অন্য পদার্থকে বিজারিত করে নিজে জারিত হয় তাকে বিজারক পদার্থ বলে ।

উদাহরণ :

2Na + Cl₂ →2NaCl

এখানে সোডিয়াম ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে সোডিয়াম ক্লোরাইড উৎপন্ন করে।

বিক্রিয়ার শুরুতে সোডিয়ামের জারণ মান ছিল 0 এবং ক্লোরিনের জারণ মান ছিল 0। বিক্রিয়ার

শেষে সোডিয়ামের জারণ মান হয় +1 এবং ক্লোরিনের জারণ মান হয় -1

এখন প্রশ্ন সোডিয়ামের জারণ মান হয় +1 এবং ক্লোরিনের জারণ মান হয় -1 কেন?

উত্তর

Na(11)→1s² 2s² 2p⁶ 3s¹ (2,8,1)

Cl(17)→1s² 2s² 2p⁶ 3s² 3p⁵ (2,8,7)

সোডিয়ামের ইলেকট্রন বিনাস থেকে দেখা জাই নিষ্ক্রিয় গ্যাস নিয়নের ইলেকট্রন বিন্যাস (2,8) অর্জনের জন্য সোডিয়ামের 1টি ইলেকট্রন ত্যাগ করতে হবে এবং ক্লোরিনের ইলেকট্রন বিন্যাস থেকে দেখা যায় নিষ্ক্রিয় গ্যাস আর্গনের ইলেকট্রন বিন্যাস(অর্জনের জন্য ক্লোরিনের 1টি ইলেকট্রনের প্রয়োজন।

সোডিয়াম তাই 1টি ইলেকট্রন ত্যাগ করে এবং ক্লোরিন সেই ইলেকট্রন গ্রহণ করে NaCl উৎপন্ন করে। (আয়নিক বন্ধন)

আমরা জানি, ইলেকট্রন ত্যাগ করলে ধনাত্মক চার্জ বৃদ্ধি পায় আর ইলেকট্রন গ্রহণ করলে ঋণাত্নক চাজ বৃদ্ধি পায়। অথাৎ NaCl এ Na আছে Na⁺ অবস্থায় এবং Clআছে Cl⁻ অবস্থায় বা (Na⁺Cl⁻)।

যেহেতু Na এর জারণ মান O থেকে বেড়ে + 1 হয়েছে বা ধনাত্মক চার্জের মান বেড়েছে তাই এই বিক্রিয়ায় Na এর জারণ ঘটেছে এব যেহেতু Na ইলেকট্রন ত্যাগ করেছে তাই Na হলো বিজারক।

Cl এর ক্ষেত্রে জারণ মান 0 থেকে -1 হয়েছে বা ঋণাত্নক চার্জের মান বৃদ্ধি পেয়েছে তাই এই বিক্রিয়ায় ক্লোরিনের বিজারণ ঘটেছে এবং যেহেতু ক্লোরিন ইলেকট্রন গ্রহণ করেছে তাই ক্লোরিন হলো এই বিক্রিয়ায় জারক।

 আমরা জানি যে মুক্ত যৌগে জারণ মান শূন্য ধরা হয়। আর সমযোজী যৌগে সাধারণত অক্সিজেন এর জারণ মান থাকে 

2। এখন আমরা যদি কার্বনের জারণ মান x ধরি, তাহলে,

x+(2)×2=0

x=+4

সুতরাং, কার্বন ডাই অক্সাইড যৌগে কার্বন এর জারণ মান +4

কার্বন ডাই অক্সাইড কি পোলার না অপোলার?

আচ্ছা, কোনো যৌগ পোলার কখন হয়?

  • যৌগটি সমযোজী
  • যৌগের কেন্দ্রীয় মৌলের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ মৌলের তড়িৎ ঋণাত্মকতর পার্থক্য যদি পোলারিটির নিন্ম সীমাকে অতিক্রম করে, তাহলে সেই যৌগটি পোলার।

এবার আসি কার্বন ডাই অক্সাইড এর পালায়! হ্যাঁ, কার্বন ডাই অক্সাইড সমযোজী। এবং এটি উপরের দুটি শর্তও পালন করে।

তাহলে কি কার্বন ডাই অক্সাইড পোলার?

না।

লক্ষ্য করুন এর গাঠনিক সংকেত টাকে। এখানে দুই দুটি কার্বন অক্সিজেন দিবন্ধন (C=O) আছে। আরো মজার বেপার হচ্ছে, এরা একটি সমতলে আছে। একেবারে সমান্তরাল করে ১৮০ ডিগ্রি এঙ্গেল এ!

ফলে বামদিকের অক্সিজেন যেই পরিমাণ আকর্ষণ করছে, ডানদিকের টাও বিপরীত দিকে সমপরিমাণ আকর্ষণ করছে। ফলে কি হলো মোট আকর্ষণ? কাটাকাটি না?

কাজেই এখানে অবশিষ্ট পোলারিটি রইলো শূন্য!

বুঝতে পারছেন না? তাহলে গণিত দিয়ে বুঝুন! ১+(-১) = কত? কাটাকাটি করে ০ হয় না?

আচ্ছা, গণিত না ভালো লাগল আপনাকে দিয়েই বুঝাই! ধরুন আপনার দুইটা বউ! এক বউ ডান হাত ধরে টানছে আরেক বউ বাম হাত ধরে! যেহেতু দুই বউএর শক্তিই সমান আপনি কোনদিকেই যাচ্ছেন না! ফলে আপনদের ফ্যামিলির পোলারিটি শূন্য!