Recent Post
Loading...

পাথুরে চুন বা ক্যালসিয়াম অক্সাইড ও কলিচুন

 


পাথুরে চুন বা ক্যালসিয়াম অক্সাইড

ক্যালসিয়াম অক্সাইড এর প্রকৃতি

  • ক) চুন হলো একটি কঠিন অনিয়তাকার অজৈব পদার্থ।
  • খ) ক্যালসিয়াম অক্সাইডের রং সাদা, উত্তাপে গলে না।
  • গ) পাথুরে চুনের কোন গন্ধ নেই।
  • ঘ) অক্সি হাইড্রোজেন শিখায় উজ্জ্বল আলো উৎপন্ন করে। একে লাইম লাইট বলে।
  • ঙ) আদ্র বাতাসে গরম হয়ে ওঠে এবং পাউডার এ পরিণত হয়।
  • চ) এটি একটি ক্ষারীয় অক্সাইড এসিডের সঙ্গে বিক্রিয়ায় লবণ উৎপন্ন করে।
  • ছ) ক্যালসিয়াম অক্সাইডের সঙ্গে জল মেশালে প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয় ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড উৎপন্ন হয়।

পাথুরে চুন বা ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইডের ব্যবহার

  • ক) ক্যালসিয়াম কার্বাইড, সোডিয়াম কার্বনেট, কস্টিক সোডা প্রস্তুতিতে ব্যবহৃত হয়।
  • খ) ধাতু নিষ্কাশনে বিগালক রূপে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।
  • গ) ইথাইল অ্যালকোহল, অ্যামোনিয়া প্রভৃতি জল মুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
  • ঘ) গাঢ় কস্টিক সোডার সঙ্গে মিশিয়ে সোডা লাইম উৎপন্ন করা হয় যা মিথেন, বেনজিন ইত্যাদি প্রস্তুতিতে এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের শোষক রূপে ব্যবহৃত হয়।

কলিচুন

কলিচুনের প্রকৃতি

ক) কলিচুন একটি অজৈব পদার্থ।
খ) জলে সামান্য দ্রাব্য তাপমাত্রা বাড়লে এর দ্রাব্যতা কমে যায়।
গ) কলিচুন সাদা পাউডার
ঘ) জলে কলিচুন মেশালে উপরের অংশে যে স্বচ্ছ দ্রবণ পাওয়া যায়, তাকেই চুনজল বলে।
ঙ) কলিচুন তীব্র ক্ষারীয় পদার্থ।অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে লবণ এবং জল উৎপন্ন করে।
চ) অ্যামোনিয়াম লবণের সঙ্গে উত্তপ্ত করলে এমোনিয়া গ্যাস নির্গত হয়।
ছ) কলিচুন এর সঙ্গে ক্লোরিনের বিলিসিং পাউডার উৎপন্ন করা হয়।
জ) কলিচুন কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে। স্বচ্ছ চুন জলের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড চালনা করলে অদ্রাব্য CaCO3 উৎপন্ন হয়, তাই চুল জল ঘোলা হয়ে যায়।

কলিচুন এর ব্যবহার

ক) ব্লিচিং পাউডার এবং কস্টিক সোডা প্রস্তুতিতে কলিচুন ব্যবহার করা হয়।
খ) সলভে পদ্ধতিতে প্রাপ্ত অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড এবং কয়লার অন্তর্ধূম পাতনে প্রাপ্ত অ্যামোনিয়াম দ্রব্য থেকে অ্যামোনিয়া গ্যাস পুনরুদ্ধারে ব্যবহৃত হয়।
গ) খর জলকে মৃদু করতে কলিচুন ব্যবহার করা হয়।
ঘ) সিমেন্ট কংক্রিট প্রস্তুতিতে এবং অট্টালিকা নির্মাণে কলিচুনের ব্যবহার হয়।

0 comments:

Post a Comment