সাধারণত ধাতু বা ধাতুর মত ক্রিয়াশীল যৌগমূলকের অক্সাইড এবং হাইড্রোক্সাইড এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও পানি উৎপন্ন করে অ্যাসিড কে প্রশমিত করে তাকে ক্ষারক বলে।
অথবা ,
ধাতব অক্সাইড বা হাইড্রোক্সাইড কে ক্ষারক বলে।
কিছু কিছু ক্ষারক পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH–) তৈরি করে। আবার কিছু কিছু ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় ন। সুতরাং এদিক দিয়ে ক্ষারককে আমরা দু ভাগে ভাগ করতে পারি, যথাঃ
- যারা পানিতে দ্রবীভূত হয়। এবং
- যারা পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
যে সকল ক্ষারক পদার্থ পানিতে দ্রবীভূত হয়ে হাইড্রোক্সিল আয়ন(OH–) তৈরি করে তারাও এক প্রকার ক্ষারক কিন্তু তাদের আলাদা নামে চিহ্নিত করা হয়, এদেরকে বলা হয় ক্ষার।
সুতরাং ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে সম্পর্ক হল ঃ
- ক্ষার যেমন পানিতে দ্রবীভূত হতে পারে তেমনি ক্ষারও পানিতে দ্রবীভূত হতে পারে।
- ক্ষারক ও ক্ষার উভয়ই পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH–) উৎপন্ন করে।
- সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড(NaOH) একটি উদাহরণ যা ক্ষারকের পাশাপাশি ক্ষারও।
ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে মিল এর চেয়েও অমিলই বেশি।
সুতরাং ক্ষার ও ক্ষারকের মধ্যে অমিল বা পার্থক্যসমূহ হলো ঃ
- সকল ক্ষারই ক্ষারক কিন্তু সকল ক্ষারক ক্ষার নয়।
- সকল ক্ষার পানিতে দ্রবীভূত হয় কিন্তু সকল ক্ষারক পানিতে দ্রবীভূত হয় না।
- সকল ক্ষার পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH–)আয়ন উৎপন্ন করে কিন্তু সকল ক্ষারক পানিতে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH–) উৎপন্ন করে না।
- সকল ক্ষার মূলক ধারী পানিতে দ্রবীভুত কিন্তু সকল ক্ষারক নয়।
- অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড{Al(OH)3} একটি উদাহরণ যা ক্ষারক হলেও ক্ষার নয়।।।।।
0 comments:
Post a Comment