Recent Post
Loading...

ক্রোমিক অ্যাসিড মিশ্রণ কী?



ক্রোমিক এসিড হচ্ছে পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) এবং সালফিউরিক এসিডের (H2SO4) মিশ্রণ।

একটা ল্যাবরেটরিতে যখন আমরা বিভিন্ন ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করি তখন আমাদেরকে কিছু বিকারক ব্যবহার করতে হয়। এসব বিকারক বা কেমিক্যাল রিএজেন্ট গুলোর মধ্যে এসিড, ক্ষার ইত্যাদি ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এক্সপেরিমেন্ট শেষ হবার পর যদি ল্যাবরেটরির টেস্টটিউব, গ্লাস কিংবা ফানেলগুলো পরিষ্কার না করি তবে পরবর্তীতে আবার সেই একই গ্লাস, ফাননেল কিংবা টেস্টটিউব দিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করার সময় আমরা ভুল রেজাল্ট পাবো। আমরা কীভাবে বিভিন্ন গ্লাসসামগ্রী যেমন টেস্ট টিউব, বিকার, ফানেল ইত্যাদি পরিষ্কার করব সেটা নির্ভর করবে কোন জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করব সেটার উপর। জৈব পদার্থ সাধারণত জৈব দ্রাবকে দ্রবীভূত হয় এবং অজৈব পদার্থগুলো পানি দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। কাজেই ল্যাবরেটরিতে প্রত্যেকটা যন্ত্রপাতি পরিষ্কার থাকতে হবে। তা না হলে আমরা যখন যে এক্সপেরিমেন্টই করি না কেনো সেটার রেজাল্ট ভুল আসার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

ল্যাবরেটরির যন্ত্রপাতি ও গ্লাস সামগ্রী পরিষ্কার করার জন্য সবচেয়ে ভালো উপাদান হচ্ছে পানি। পানি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা সহজেই এসিড কিংবা ক্ষারকে পরিষ্কার করতে পারি। কেননা এসিড এবং ক্ষার দুটোই পানিতে দ্রবণীয়। তবে পানি দিয়ে ধোয়ার আগে প্রত্যেক যন্ত্রপাতিকে ডিটারজেন্ট মিশ্রিত দ্রবণে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর একটি ব্রাশ বা স্ক্রাবার ( scrubber ) এর সাহায্যে গ্লাসের ভিতরে এবং বাহিরে ভালোমতো পরিষ্কার করে নিতে হবে। সবশেষে আরো একবার পানি এবং এসিটোন দিয়ে যন্ত্রপাতিগুলোকে ধুয়ে নিতে হবে। ধোয়া শেষ হলে খেয়াল রাখতে হবে যেন যন্ত্রপাতিতে ফোঁটা ফোঁটা পানি না জমে থাকে।

এছাড়া ল্যাবরেটরিতে যন্ত্রপাতি পরিষ্কার করার জন্য আমরা গরম পানিও ব্যবহার করতে পারি। গরম পানি সাধারণ পানির চেয়েও অনেক বেশি সক্রিয়। তাই এটি দিয়ে খুব দ্রুত এসিড এবং ক্ষারকে পরিষ্কার করা যায়।

যদি সাধারন পানি এবং গরম পানি দুটোর কোনোটি দিয়েই এসিড এবং ক্ষারকে পরিষ্কার করা না যায় তবে আমরা ক্রোমিক এসিড (H2CrO4) ব্যবহার করতে পারি। ক্রোমিক এসিড হচ্ছে পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট (K2Cr2O7) এবং সালফিউরিক এসিডের (H2SO4) মিশ্রণ। পটাশিয়াম ডাইক্রোমেট এবং সালফিউরিক এসিড বিক্রিয়া করে জায়মান অক্সিজেন তৈরি করে-

K2Cr2O7 + H2SO4 = K2SO4 + Cr2(SO4)3 + H2O + [O]

জায়মান অক্সিজেন এর খুব সুন্দর একটা গুণ আছে। যখন এটি কোনো ময়লার সাথে যুক্ত হয় তখন সে ময়লাকে জারিত করে। ময়লা জারিত হয়ে অধঃক্ষেপ তৈরি করে। তখন পানি ব্যবহার করে অধঃক্ষেপ যুক্ত ময়লা গুলোকে সহজেই পরিষ্কার করে ফেলা যায়। সেজন্য ক্রোমিক এসিডকে পরিষ্কার করার কাজে ল্যাবরেটরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

0 comments:

Post a Comment