প্রভাবক:
প্রভাবক একটি পদার্থ। যা কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় অংশগ্রহন করে না ,কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার গতিকে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তাকে প্রভাবক বলে।
প্রভাবন:
প্রভাবক একটি পদার্থ। যা
কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় অংশগ্রহন করে না ,কিন্তু রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উপস্থিত থেকে বিক্রিয়ার গতিকে বৃদ্ধি বা হ্রাস করে তাকে প্রভাবক বলে। এই প্রক্রিয়াটিকেই প্রভাবন বলে।
.
প্রভাবক চার প্রকার:
১) ধনাত্মকপ্রভাবক
২) ঋনাত্মক প্রভাবক
৩)অটো বা স্বয়ং প্রভাবক ।
৪) আবিষ্ট প্রভাবক ।
১) ধনাত্মক প্রভাবক:
যে প্রভাবক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-র স্বাভাবিক গতিকে বৃদ্ধি করে তাকে ধনাত্মক প্রভাবক বলে।
যেমন: পটাসিয়াম ক্লোরেট হতে অক্সিজেন প্রস্তুতির সময় ম্যাংগানিজ ডাইঅক্সাইড ধনাত্মক প্রভাবক হিসেবে কাজ করে।
MnO2
2KClO3 → 2KCl + 3O2
২) ঋনাত্মক প্রভাবক:
যে প্রভাবক কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-র স্বাভাবিক গতিকে হ্রাস করে তাকে ঋনাত্মক প্রভাবক বলে।
যেমন: হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড এর দ্রবণ ধীরে ধীরে বিয়োজিত হয়ে পানি ও অক্সিজেন উৎপন্ন হয়। এখানে এরা ঋনাত্মক প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
2H2O2 = 2H2O + O2 (ধীরে ধীরে বিয়োজন)
.
৩) অটো বা স্বয়ং প্রভাবক:
যদি কোনো রাসায়নিক বিক্রিয়া-য় উৎপন্ন পদার্থসমূহের একটি নিজেই প্রভাবকের কাজ করে, তবে তাকে অটো বা স্বয়োং প্রভাবক বলে।
.
৪) আবিষ্ট প্রভাবক:
একটি বিক্রিয়ার প্রভাবে অন্য কোনো বিক্রিয়া সংঘটিত হয় তাকে আবিষ্ট প্রভাবক বলে।
.
প্রভাবক বিবর্ধক ও প্রভাবক বিষ কি? উদাহরণ দাও।
.
উত্তরঃ প্রভাবক বিবর্ধক: যে পদার্থের উপস্থিতিতে প্রভাবকের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় তাকে প্রভাবক বিবর্ধক বা প্রভাবক সহায়ক বা প্রভাবক উদ্দীপক বলে।
যেমন: হেবার প্রণালিতে অ্যামোনিয়া ( NH3) প্রস্তুতির সময় আয়রন প্রভাবকের সাথে সামান্য পরিমাণ
মলিবডেনাম উপস্থিত (গড়) থেকে প্রভাবক সহায়ক হিসেবে প্রভাবকের ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করে। যেমন ,
N2 +3H2 →NH3
.
প্রভাবক বিষ: যে সমস্ত পদার্থ প্রভাবকের ক্ষমতা নষ্ট করে তাকে প্রভাবক বিষ বলে।
যেমন: এ বিক্রিয়াতে প্লাটিনাম(চঃ) চূর্ণ একটি ধনাত্মক প্রভাবক। কিন্তু বিক্রয়কের সাথে সামান্য পরিমাণ
আর্সেনিয়াস অক্সাইড (As2O3) থাকে তবে বিক্রিয়ার গতি হ্রাস পায় অর্থাৎ প্রভাবকের ক্ষমতা হ্রাস পায়। এখানে ( As2O3) প্রভাবক বিষ হিসেবে কাজ করে।
,
2SO2 + O2 - 2SO3
প্রভাবক বিষ As2O3
- শিল্পক্ষেত্রে প্রভাবকের ৫ টি ব্যবহার :-
১) অ্যামিনিয়া (NH3) উৎপাদনে:
হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন হতে হেবার প্রণালিতে অ্যামোনিয়া ( NH3) প্রস্তুতির জন্য লোহার গুঁড়া (Fe) প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২) HCl এর জারণ কার্জে : ডিকন্স প্রণালিতে HCl এর জারণ কার্যে কিউপ্রিক ক্লোরাইড প্রভাবক রূপে ব্যবহৃত হয়।
৩) কৃত্রিম ঘি উৎপাদনে: অসম্পৃক্ত তেলের মধ্যে হাইড্রোজেন চালনা করে কৃত্রিম ঘি বা ডালডা তৈরিতে নিকেল চূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৪) পাইপ সংরক্ষণে: বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পানি সরবরাহের পাইপ ও বয়লারের লোহার ক্ষয়রোধের জন্য পানি সরবরাহে সোডিয়াম ডাইক্রোমেট ঋনাত্মক প্রভাবক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৫) গ্যাসোলিন উৎপাদনে: পেট্রোলিয়ামকে তাপ বিয়োজন করে গ্যাসোলিন জ্বালানি প্রস্তুতিতে অ্যালুমিনিয়াম সিলিকেট ।
0 comments:
Post a Comment